জামায়াতে ইসলামী

আজকের পত্রিকায় ৬ জুলাই সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম কলামে তিনটি রাজনৈতিক দলের তিনজন নেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে যে তিনটি পৃথক খবর ছাপা হয়েছে, তাতে দেশের রাজনীতির প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। তবে গত বছরের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে যে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যারা প্রকৃত গণতন্ত্র চায়, তাদের উচিত সংস্কার কমিশনকে সহযোগিতা করা। মৌলিক সংস্কার শেষ হলে তখন সবাই যার যার রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারবে। কিন্তু অতীতের দুর্গন্ধযুক্ত প্রথা পরিষ্কার না করে আবার যদি নির্বাচন হয়, তা হবে নির্বাচনকে গণহত্যার

তিনি বলেন, “দেশে ইদানীং কিছু রাজনৈতিক দলের দখল ও লুটপাট জনগণ প্রত্যক্ষ করছে। সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে বলব—নিজেদের সামলান, না হলে জনগণই আপনাদের সামলে দেবে।”

শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘পাটগ্রাম আমাদের চোখের সামনে। এখন দেশে এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে কিসের নির্বাচন? আগে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচনও ইনশা আল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।’ জনসভায় রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়

শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে, তারপর নির্বাচন। আর এই পরিবেশ তৈরির জন্য সংস্কারের প্রশ্নগুলো উঠেছে। আমরা আশা করি, যদি মৌলিক বিষয়গুলোতে কার্যকর সংস্কার করা যায়, তাহলে একটা ভালো নির্বাচন হবে। এখানে “যদি”র কোনো সুযোগ নেই।’

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে প্রস্তাবটির পক্ষে একমত পোষণ করে দলগুলো।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, তাঁরা সব সময় জুলাই সনদের পক্ষে। যে পরিবর্তনের জন্য মানুষ রক্ত দিয়েছে, তা যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে এই আত্মত্যাগ অর্থহীন হয়ে যাবে।

ইউনিয়ন পরিষদে ঝুঁকিপূর্ণ নারী উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) মোট কার্ড এসেছে ৪০০টি। এর মধ্যে বিএনপি ৩০০টি আর জামায়াতে ইসলামী ৯০টি কার্ড নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজ বুধবার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নালিশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

আবদুল হালিম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এই সমাবেশ একটি যুগান্তকারী বার্তা দেবে। এতে ছাত্র, শ্রমিক, সাধারণ মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার অংশগ্রহণ আশা করা হচ্ছে। এই মহাসমাবেশ মানবিক বাংলাদেশ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘গত সাত দিন ধরে আমরা আলোচনা করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি হলেও সত্যি কথা হচ্ছে, আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি।’